স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ সালাহ উদ্দীন মিয়াজী মহেশপুর ও কোটচাদপুর উপজেলার সকল ইউনিয়নে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সকল মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন হাজার হাজার জনগণ তার পিছনে ভিড় জমাচ্ছেন। তার কথাবার্তা মানুষ বিশ্বাস করে তাকে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
সাধারণ ভোটারদের সাথে নৌকার প্রার্থীর বিষয়ে আলাপকালে তারা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভকালীন ভাতাসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলমান রেখেছেন। ফলে তারা আবারও তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাচ্ছেন। ফলে তার মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দীন মিয়াজীকে ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করে মহেশপুরের মানুষের কল্যাণে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন’।
এদিকে ঝিনািইদহ-৩ আসনের মহেশপুর ও কোটচাদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর জেরারেল (অবঃ) সালাহ উদ্দীন মিয়াজী রাজনীতিতে নতুন হলেও তার পিতা এ আসনের সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও ৭৩ সালের সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মইনুদ্দীন মিয়াজীর বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দিকে দৃষ্টিপাত করে সাধারণ ভোটারা সালাহ উদ্দীন মিয়াজীকে আপন করে বুকে টেনে নিচ্ছেন। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, এ আসনের মহেশপুর ও কোটচাদপুরে এবার নৌকার জোয়ার বইছে।
সাধারণ ভোটাদের সাফ কথা সাবেক এমপি মইনুদ্দীন মিয়াজীর পর তার যোগ্য সন্তান সালাহ উদ্দীন মিয়াজীই এ আসনের যোগ্য প্রার্থী। ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাধারণ জনগণ আশায় বুক বাধছেন এই ভেবে যে, দেশ স্বাধীনের পর হয়তো তারা এবার মন্ত্রী পেতে চলেছেন।
এব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজে কিছু না বললেও সাধারণ মানুষ ধারণা করছেন যে, যেহেতু মেজর জেনারেল (অবঃ) সালাহ উদ্দীন মিয়াজী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব ছিলেন ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণের পর তাকে নৌকার মাঝি হিসেবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন। ফলে নির্বাচনে বিজয়ী হলে হয়তো তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভায় স্থান দিতে পারেন।
এদিকে এ আসনের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, মেজর জেনারেল (অবঃ) সালাহ উদ্দীন নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হলে তিনিই পারবেন এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মহেশপুরের দত্তনগর কৃষি ফার্মে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও ১৯৪৭ সালে মহেশপুরের যাদবপুর সীমান্তে যে স্থল বন্দরের কাজ শুরু হয়েছিল সেটি আবার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে। সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি উল্লেখিত কাজ দুটি করতে পারেন তবে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মণিকোঠায় তার নামটি স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে।
Leave a Reply